নিজস্ব প্রতিবেদক, জীবননগর, চুয়াডাঙ্গা।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মারুফদাহ বাঁওড় ইজারাদার নিমাই হালদারের ছেলে নিতাই হালদারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। সোমবার বিকেলে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আল আমীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দজাদী মাহবুবা মঞ্জুর মৌনা, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জুয়েল শেখসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাঁওড় ইজারাদারকে বুঝিয়ে দেন।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রায়পুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন মেম্বারের নেতৃত্বে যুবলীগ কর্মী শহীদ ও মিজানুর , আওয়ামী লীগ নেতা নজির, পাতা, এরশাদ, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী নেতা জেহের মেম্বার, সুজন, শরিফুল, আনিচুর, মতিয়ার মোল্লা ও রবজেলসহ কয়েকজন মারুফদাহ মৎসবীজী সমবায় সমিতির কাছ থেকে জোরপূর্বক মারুফদাহ বাঁওড় দখলে নিয়ে ১৫-১৬ লাখ টাকার মাছ লুট করে। এরপর থেকে তারা বাঁওড় জোরপূর্বক দখল করে রেখেছিল। এর মধ্যে গত ১৩ জুলাই বাওড়ের ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ইজারার মাধ্যমে বাঁওড় পান নিমাই হালদারের ছেলে নিতাই হলদার। তবে বাঁওড় হস্তান্তর নিয়ে ঝামেলা করছিল তারা। তবে সোমবার বিকেলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাঁওড় হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে নিতাই হলদার বলেন, তারা অনেক দিন ধরে বাঁওড় দখল করে রেখেছিল। ইজারা পাওয়ার পরও তারা হস্তান্তর করেছিল না। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আজ আমরা বাঁওড় বুঝে পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, তারা আজ বাঁওড় হস্তান্তর করবে না বলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একত্রিত হয়েছিল। তবে প্রশাসনের লোকজন আসায় তারা কিছু করতে পারিনি। পুলিশ সদস্যরা তাদের অস্ত্র উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
