নিউজ ডেস্ক।
আজ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ৬ বিজিবি’র অধীনস্থ দর্শনার বারাদী বিওপি’র একটি বিশেষ টহল দল ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া ৩৫৪ গ্রাম ওজনের তিনটি স্বর্ণের বারসহ এক নারী চোরাকারবারিকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজারমূল্য ৫৮ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫৬ টাকা।
৬ বিজিবি’র পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: নাজমুল হাসান বিকেল পাঁচটায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটককৃত নারী চোরাকারবারির নাম আসমা (২৫)। তিনি দর্শনা থানাধীন কামারপাড়া গ্রামের ওয়াসিমের স্ত্রী।
বিজিবি সূত্র জানায়, ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান গোপন সূত্রে জানতে পারেন যে, দামুড়হুদা উপজেলার কামারপাড়া সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে ভারতে স্বর্ণ পাচারের পরিকল্পনা চলছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতেই বারাদী বিওপি’র একটি বিশেষ দলকে দ্রুত ওই এলাকায় অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা পেয়ে বিশেষ দলটি দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে কামারপাড়া গ্রামে অভিযান শুরু করে। সিমান্ত পিলার ৮০/১০-আর থেকে প্রায় ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পরিচালিত এই অভিযানে আসমা খাতুনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়।
আটকের পর আসমা খাতুনের দেহ তল্লাশি করে ভারত পাচারের উদ্দেশ্যে গোপনে বহন করা তিনটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা এই স্বর্ণের মোট ওজন ৩৫৪ গ্রাম।
এছাড়াও তার কাছ থেকে একটি বাটন মোবাইল ফোন এবং নগদ ১৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, যা চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবি’র একটি অন্যতম বড় সাফল্য।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান আরও জানান, অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালানের এই ঘটনায় বারাদী বিওপি’র নায়েব সুবেদার এনামুল হক বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বিজিবি বর্তমানে আটককৃত নারী চোরাকারবারি আসামীকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে। একই সাথে, উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের বারগুলো সরকারি বিধি মোতাবেক চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে জমা দেওয়ার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।
